নিজস্ব প্রতিবেদক:
যশোরের বেনাপোলের খড়িডাঙ্গা গ্রামে একটি পুরনো অর্থনৈতিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে সুমন হোসেন (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (১০ মে) যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। জমি বন্ধক সংক্রান্ত এই লেনদেন ছিল মৌখিক চুক্তিভিত্তিক, যা শেষ পর্যন্ত প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে।
নিহত সুমন বেনাপোল পোর্ট থানার খড়িডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা নূর ইসলামের ছেলে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে সুমন স্থানীয় তিন ব্যক্তি—মশিয়ার, মফিজুর ও শহিদুল্লাহর কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ১২ কাঠা জমি বন্ধক নেন। উক্ত লেনদেনটি ছিল সম্পূর্ণ মৌখিক। সম্প্রতি ওই জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে মশিয়ারেরা জমি ফেরত নিতে এবং টাকা পরিশোধ করতে বলেন।
এ নিয়েই শুরু হয় বিরোধ। বৃহস্পতিবার বিকেলে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কিছুক্ষণ পর প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে সুমনের ওপর হামলা চালায়। তাকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে গ্রামবাসীর সহায়তায় সুমনকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।
নিহতের ভাই নূর হোসেন বলেন, “মৌখিক চুক্তির কারণে কোনো প্রমাণ ছিল না। ওরা সেটা সুযোগ হিসেবে নিয়ে জোরপূর্বক জমি নিয়ে নিতে চাইছিল। তাতে বাধা দিতেই ভাইকে মেরে ফেলল।”
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় এ ধরনের মৌখিক আর্থিক লেনদেন প্রচলিত, যা পরবর্তীতে বিরোধের জন্ম দেয়। অনেকেই দারিদ্র্য ও আইনি জটিলতা এড়াতে কাগজপত্র না করেই জমি বন্ধক দেন বা নেন।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া জানান, “ঘটনার তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চালানো হচ্ছে।”
0 মন্তব্যসমূহ