Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Responsive Advertisement

বেনাপোল স্থলবন্দরে জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ, গঠিত হলো ৬ সদস্যের কমিটি



বেনাপোল থেকে রাজু আহমেদ:

টানা বৃষ্টিপাতে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের বিভিন্ন আমদানি পণ্যের শেডে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা। কার্যকর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় জমে থাকা পানিতে শেডের পণ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে বুধবার (৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী নাজিফ হাসান বন্দর এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি পানি নিষ্কাশনে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

ইউএনওর নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন ও বেনাপোল পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে পানি অপসারণের কাজ শুরু হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানা গেছে।

জলাবদ্ধতা নিরসনে ইউএনওর নির্দেশে একটি ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি থাকবেন বেনাপোল পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। সদস্য হিসেবে থাকবেন বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার, স্থলবন্দরের পরিচালক, রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ও সভাপতির মনোনীত স্থানীয় একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি।

বেনাপোল হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন-৯২৫ এর সাধারণ সম্পাদক শহীদ আলী জানান, গত দুই দিন ধরে শ্রমিক ইউনিয়ন ও বন্দর কর্তৃপক্ষ মিলে পানি অপসারণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আজ উপজেলা প্রশাসন এবং পৌরসভার সম্মিলিত উদ্যোগে পানি দ্রুত অপসারণ হচ্ছে। ব্রিজের নিচ দিয়ে পানি সরে যাওয়ায় শেডগুলোর ভেতরের পরিবেশ আগের তুলনায় অনেকটাই স্বাভাবিক।

বন্দর-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, দেশের অন্যতম বৃহত্তম ও রাজস্ব আয়ের প্রধান কেন্দ্র বেনাপোল স্থলবন্দর চরম অব্যবস্থাপনার মধ্যে চলছে। কয়েকবার বন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও এখানে কোনো অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাই নেই।

তাঁরা আরও জানান, বর্ষাকালে ভারী বৃষ্টির সময় বন্দরের ভেতর পানি জমে যায়, অথচ পানিনিষ্কাশনের কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এসব শেড নির্মাণ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন—এই বন্দর এলাকায় যখন হাফ ডজনেরও বেশি প্রকৌশলী (ইঞ্জিনিয়ার) কর্মরত, তখন কীভাবে তারা এমন অপরিকল্পিত শেড নির্মাণ করেছে, যেখানে একটি কার্যকর নিষ্কাশন ব্যবস্থার ন্যূনতম চিন্তাও করা হয়নি? জনমনে উঠেছে নানা প্রশ্ন।

শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিফ হাসান জানান, “বন্দরের শেড এলাকায় সহকারী ভূমি কমিশনারকে দায়িত্ব দিয়েছি। তিনি সার্বক্ষণিক কাজ তদারকি করছেন। এখনো পানি অপসারণের কাজ চলছে। দ্রুতই পুরো বন্দর এলাকা পানি মুক্ত হবে বলে আশা করছি।”

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পানি অপসারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা স্থায়ী সমাধানের দাবিতে বন্দর ব্যবস্থাপনায় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ