Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Responsive Advertisement

৩ লাখ টাকা হলেই বাঁচবে ৮ বছর বয়সের নীলা

 বেনাপোল প্রতিনিধি :

যশোরের শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামের আসাদুজ্জামান ও রত্না খাতুনের সংসারে একমাত্র মেয়ে নীলা খাতুন। থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত ৮ বছর বয়সের শিশু সন্তান নীলা বাবা আসাদুজ্জামানকে জড়িয়ে ধরে জ্বালা যন্ত্রণা সইতে না পেরে বাবাকে বলছেন '‘বাবা আমি মরে গেলে ভালো হতো। জালা যন্ত্রনা হতোনা। ঘুমিয়ে থাকতাম নিশ্চিন্তে’। 

মেয়ের কন্ঠে এমন কথা শোনার পর অসহায় বাবা মা চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। কান্নায় ভেঙে পড়েছিলো তারা দুজনেই। তারা বড়ই অসহায়। কান্না ছাড়া আর কিছুই যেন করার নেই। চোখের সামনে মেয়েটি মরতে বসেছে। নীলা দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়লেও কিছুই করার নেই।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জন্মের মাত্র আড়াই মাস বয়স থেকে নীলা থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। সেই থেকে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে তার শরীরে রক্ত দিয়ে আসছিলেন পরিবার। বর্তমান সেটা জটিল আকার ধারণ করেছে। নীলার পেট ফুলে পড়েছে। চিকিৎসা করানোর জন্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তাই মাথায় যেনো আকাশ ভেঙে পড়েছে। চিকিৎসার ব্যয় হবে তিন লাখ টাকা। কোথা থেকে পাবেন এই টাকা। ৮ বছরে চিকিৎসা করাতেই তার জমানো সব টাকাই শেষ।



নিলার বাবা একটি মিস্টির দোকানে ময়রার (মিস্টি বানানোর কারিগর) কাজ করেন। মা গৃহিণী। মিস্টি বানিয়ে যে টাকা পান সেটা মেয়ের পিছনে ব্যয় করতে হয়। সংসারে কিছুই দিতে পারেন না। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। 

নীলা খাতুনের বাবার আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে উন্নত চিকিৎসা করা যাচ্ছে না। বাবার অর্থ না থাকায় মেয়ের চিকিৎসার জন্য প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছে তার অসহায় পরিবার। সবাই একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে হয়ত ছোট মেয়েটি সুস্থ হয়ে আবারো যাবে স্কুলে। মেতে উঠবে বন্ধুদের সাথে। কেউ সাহায্য করতে চাইলে তার পিতার বিকাশ নম্বর- ০১৭৮৪-৫৫৪২৯১ যোগাযোগ করতে পারেন। 

এই ব্যাপারে স্থানীয় কায়বা ইউপি চেয়ারম্যান জনাব আলতাফ হোসেন বলেন, নীলার সংবাদ শোনার পর তার পরিবারকে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকা হয়েছে। আসলে অব্যশই তার চিকিৎসার জন্য যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করা হবে। তিনিও সকল বিত্তবানদের নীলার চিকিৎসায় এগিয়ে আসার আহবান জানান


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ