বেনাপোল প্রতিনিধি |
বেনাপোল সীমান্তে ছিনতাইকারীর কবলে পড়া এক বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রীর হারানো টাকা উদ্ধার করে ফের প্রমাণ দিল বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ — আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি মানুষের পাশে দাঁড়াতেও তারা সবসময় প্রস্তুত। পুলিশের সময়োপযোগী হস্তক্ষেপ, পেশাদারিত্ব এবং মানবিক আচরণ আজ আবারো মানুষের হৃদয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ ১১ মে দুপুর ২টার দিকে। দীপ্তি রানী বৈরাগী ও তার ভাই পরিমল কুমার বৈরাগী চিকিৎসা ভিসায় ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেনাপোলে আসেন। এ সময় ফর্ম লেখার নাম করে এক প্রতারক তাদের নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা নেন এবং “নাম্বার লেখার” অজুহাতে টাকা গুনতে গুনতে কৌশলে ৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
পরে ট্রাভেল ট্যাক্স দেয়ার সময় টাকা কম অনুভব হলে তারা বিষয়টি বুঝতে পারেন। তৎক্ষণাৎ তারা বেনাপোল পোর্ট থানায় বিষয়টি জানালে, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া অত্যন্ত দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে চৌকস পুলিশ অফিসার আবুল বাশার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় ছিনতাইকারীকে শনাক্ত করে এবং ঘটনাস্থলেই টাকা উদ্ধার করে যাত্রীর হাতে তুলে দেন।
টাকা ফেরত পেয়ে দীপ্তি রানী বৈরাগী বলেন, “এত দ্রুত আমাদের হারানো টাকা ফেরত পাবো, কল্পনাও করিনি। পুলিশের এমন সহযোগিতা ও আন্তরিকতায় আমরা সত্যিই অভিভূত। তারা শুধু দায়িত্ব পালন করেনি, বরং একজন আত্মীয়ের মতো পাশে দাঁড়িয়েছে।”
স্থানীয় বাসিন্দারাও পুলিশের এমন তৎপরতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই বলেছেন, বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ সবসময় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
থানার ওসি রাসেল মিয়া বলেন, “যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া আমাদের কর্তব্য। আমরা চাই, বেনাপোলে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন। এই জায়গা যেহেতু আন্তর্জাতিক গেটওয়ে, তাই নিরাপত্তায় কোন আপোস করা হবে না।”
পুলিশের এ ধরনের পেশাদার ও মানবিক আচরণ সীমান্ত এলাকায় যাত্রীদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করেছে। যাত্রীরা বলছেন, বেনাপোল থানার পুলিশ যেমন কঠোর হাতে অপরাধ দমন করছে, তেমনি সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে — এটাই একটি আধুনিক, জনবান্ধব পুলিশের পরিচয়।
0 মন্তব্যসমূহ