বেনাপোল প্রতিনিধি:
অবশেষে বেনাপোল স্থলবন্দর ও কাস্টমস হাউস এলাকায় দেড় সপ্তাহ ধরে চলা জলাবদ্ধতা নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছে বেনাপোল পৌরসভা। বুধবার (১৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টার সময় বেনাপোল পৌরসভার প্রধান প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন পৌর কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ছোট আঁচড়া রেল লাইনের কালভার্টের নিচের মাটি কেটে পানি নিস্কাশনের কাজ শুরু করেন।
এর আগে গত ৯ জুলাই বেনাপোল পৌর প্রশাসক ও শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী নাজিব হাসন ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি পানি নিস্কাশন কমিটি গঠন করেন। কমিটির সভাপতি করা হয় শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী শওকাত সেতুকে। তবে প্রায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পানি অপসারণে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় পৌর কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে শ্রমিক এনে খনন কাজ শুরু করে।
জানা গেছে, বেনাপোল পৌরসভার ছোট আঁচড়া এলাকায় কাস্টমস হাউসের পেছনে রেল লাইন মেরামতের সময় একটি ব্রিজ মাটি দিয়ে ভরাট হয়ে যায়। এর ফলে পানি বের হতে না পেরে বন্দর ও কাস্টমস হাউসে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়, যা সরকারি কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটায় এবং আমদানিকৃত পণ্য খালাসে চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বেনাপোল পৌরসভার প্রধান প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন ও সহকারী প্রকৌশলী মফিজুর রহমান জানান, “রেলওয়ের একটি কালভার্টে মাটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি আটকে যায়। এ কারণে কাস্টমস হাউস ও বন্দর এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। পৌরসভার নিজস্ব শ্রমিকদের দিয়ে কালভার্টের নিচে খনন করে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। খননের মাধ্যমে ছোট আঁচড়া রেল লাইনের নিচ দিয়ে পানি ভবেরবেড় এলাকায় চলে যাবে।”
তবে স্থানীয় গ্রামবাসীরা শঙ্কা প্রকাশ করে জানান, “এই পানি সরানো হলে তা আমাদের বাড়িঘর ডুবিয়ে দেবে। কারণ পাশের বিলে ইতোমধ্যেই পানি জমে আছে, নতুন পানি আর ধারণ করতে পারবে না। সব পানি আমাদের গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়বে।”
তাদের মতে, পানি নিস্কাশনের সঠিক পথ হচ্ছে হাকর নদীতে। এজন্য যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের নিচ দিয়ে একটি সুষ্ঠু ড্রেনেজ ব্যবস্থার দাবি জানান তারা।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন,বেনাপোল পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের ভারত, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব আকতারুজ্জামান আক্তার, বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ মামুন কবীর তরফদার, কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম, সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ ফয়সাল আহসান সজীব, রেলওয়ে সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ চাঁদ আহমেদ, বন্দর ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের, ৯২৫ হ্যান্ডেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সহিদ আলী, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ তবিবুর রহমান এবং বেনাপোল পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ওমর ফারুক প্রমুখ।
0 মন্তব্যসমূহ