বেনাপোল প্রতিনিধি :
দেশজুড়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে প্রণীত রাজস্ব ইউনিট কাউন্সিল অধ্যাদেশ বাতিল এবং টেকসই রাজস্ব সংস্কারের দাবিতে বেনাপোল কাস্টমস হাউজেও দ্বিতীয় দিনের মতো পালিত হয়েছে ‘কলম বিরতি’। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কাস্টমস হাউজের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকল প্রকার কার্যক্রম থেকে বিরত ছিলেন।
এ সময় কাস্টমস হাউজে কোনও সরকারি দাফতরিক কাজ হয়নি। অফিসের প্রধান ফটকে কলম বিরতির ব্যানার টানিয়ে দেয়া হয়। যদিও দু’একজন কর্মকর্তা উপস্থিত থাকলেও তারা কোনো ধরনের কার্যক্রমে অংশ নেননি। তবে বেলা ১টার পর থেকে পুনরায় কাজ শুরু করেন কর্মকর্তারা এবং বিকেল ৫টা পর্যন্ত টানা কাজ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
তবে কলম বিরতির প্রভাব পড়েনি বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে চলমান আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে। পূর্বে ইস্যুকৃত আইজিএম (ইমপোর্ট জেনারেল ম্যানিফেস্ট) অনুযায়ী পণ্য আমদানি ও রপ্তানি স্বাভাবিক ছিল। তবে নতুন কোনো আইজিএম ইস্যু করা হয়নি সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত। বিকাল থেকে পুনরায় আইজিএম ইস্যু শুরু হয়।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ জানান, কলম বিরতির
কারণে সকালে কাস্টমস হাউজে কোনো ফাইল প্রসেসিং হয়নি। তবে দুপুর ১টার পর থেকে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সহকারী কমিশনার রাজন হোসেন বলেন, “আমাদের দাবি, এনবিআর ইউনিট কাউন্সিল অধ্যাদেশটি বাতিল করতে হবে। এনবিআর উপদেষ্টা সংস্কার কমিটির প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি, বরং আমাদের সঙ্গে কোনো কার্যকর আলোচনা ছাড়াই এই অধ্যাদেশ কার্যকর করা হয়েছে। বর্তমানে সরকার এনবিআরকে ভেঙে জাতীয় রাজস্ব নীতি বিভাগ ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগে বিভক্ত করছে, যা বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। এ কারণেই আমরা দেশের অন্যান্য কাস্টমস হাউসের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে কলম বিরতিতে অংশ নিয়েছি।”
তিনি আরও জানান, আগামী শনিবার (১৭ মে) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত আবারও কলম বিরতি পালন করা হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলমান থাকবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
0 মন্তব্যসমূহ