Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Responsive Advertisement

বেনাপোল ইমিগ্রেশনে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার



বেনাপোল থেকে রাজু আহমেদ:

 ভারতে পালানোর সময় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন থেকে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি. এম. সাহাবউদ্দিন আজমকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল ১১টার দিকে তিনি ভারত যাওয়ার জন্য ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সময় গ্রেপ্তার হন। তার স্ত্রী তার সাথে থাকলেও, তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

জি. এম. সাহাবউদ্দিন আজম গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানার বিনাপানি গার্লস স্কুল রোডের মৃত মইনদ্দিনের ছেলে। তার পাসপোর্ট নম্বর বি-০০০০৭৩৯৪৮।

ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকালে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে জি. এম. সাহাবউদ্দিন আজম ইমিগ্রেশনের ডেস্কে তার পাসপোর্ট জমা দেন। তার পাসপোর্টে "স্টপ লিস্ট" থাকায় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরবর্তীতে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে সেনা সদস্যদের উপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের মতো গুরুতর অভিযোগও আছে, যা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গোপালগঞ্জ সদর থানায় দায়ের করা হয়েছিল। ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন মুন্সী জানান, তাদের কাছে পূর্ব থেকেই তথ্য ছিল যে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি. এম. সাহাবউদ্দিন আজম ভারতে পালানোর চেষ্টা করতে পারেন। সেই মোতাবেক বহির্গমন বিভাগের সকল অফিসারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। সকাল ১১টার দিকে তিনি বেনাপোল ইমিগ্রেশন ভবনে প্রবেশ করে বহির্গমন সিল মারার জন্য পাসপোর্টের ডেস্কে জমা দিলে অনলাইনে তার স্টপ লিস্ট দেখা যায়। এতে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রাসেল মিয়া বলেন, "ইমিগ্রেশনে আটক আওয়ামী লীগ নেতাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। যেহেতু গোপালগঞ্জ থানায় তার নামে মামলা রয়েছে, সেহেতু তাকে গোপালগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা 

হবে।"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ