
বার্তা জগৎ ডেস্ক: সাম্প্রতিক বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির কারণে যশোরে বেশ কিছু সবজির দাম বেড়েছে। তবে সুখবর হলো, এ সপ্তাহে ডিমের দাম প্রতি হালিতে ৬ টাকা কমেছে। অন্যদিকে, আলু, পেঁয়াজ, খামারের মুরগি এবং গরুর মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
যশোরের বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, উচ্ছে, বরবটি, ঝিঙে, টমেটো, কুশি, গাজর ও কুমড়োর দাম প্রতি কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বর্তমানে উচ্ছে ৭০ টাকা (আগে ছিল ৬০ টাকা), ঝিঙে ৫০ টাকা (আগে ছিল ৪০ টাকা), টমেটো ৪০ টাকা (আগে ছিল ৩০ টাকা), কুশি ৫০ টাকা (আগে ছিল ৪০ টাকা) এবং কুমড়ো ৩০ টাকা (আগে ছিল ২০ টাকা) দরে বিক্রি হচ্ছে। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০ টাকা।
বড় বাজারের সবজি বিক্রেতা নাসির আলী জানান, "সাম্প্রতিক শিলাবৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির আমদানি কমে গেছে। এ কারণেই বেশ কিছু সবজির দাম বেড়েছে।"
অন্যান্য সবজির মধ্যে আলু ২০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ মানভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, মুখিকচু ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ২০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং লাউ প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভরা বোরো মৌসুম হওয়া সত্ত্বেও সরু মিনিকেট চালের দাম বেড়েছে। এ সপ্তাহে প্রতি কেজিতে ২ টাকা বেড়ে মানভেদে ৬২ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬২ থেকে ৬৮ টাকা। তবে অন্যান্য চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাংলামতি চাল ৮০ থেকে ৮৪ টাকা, কাজললতা ৬৪ টাকা, ব্রি-২৮ চাল ৫৬ থেকে ৬০ টাকা, ব্রি-৬৩ চাল ৬৮ টাকা, ব্রি-৪৯ চাল ৫৬ টাকা, স্বর্ণা চাল ৫২ টাকা এবং হীরা চাল ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
খামারের মুরগির ডিমের দাম কমেছে, যা ক্রেতাদের জন্য কিছুটা স্বস্তি এনেছে। বড় বাজারের এইচএমএম রোডের দোকানি শেখ আব্দুল কুদ্দুস জানান, গত সপ্তাহে প্রতি হালি ডিম ৪৪ টাকায় বিক্রি হলেও রোববার তা ৩৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এ সপ্তাহে খামারের মুরগি ও গরুর মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। খামারের ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি ২৩০ টাকা কেজি এবং গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ